রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০০৮

খাদ্যের মাধ্যমে ভ্যাক্সিনেশন


খাদ্যের মাধ্যমে ভ্যাক্সিনেশন


বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোর দিকে তাকালে আমাদের সত্যি বিস্ময় জাগে। এক সময় একটা গোল চাকা অবিষ্কার করতে মানুষের সময় লেগেছিল দশ হাজার বছর। আর দেখতে দেখতে আবিষ্কার হয়ে যাচ্ছে নানা ধরনের কঠিন অসুখের প্রতিষেধক। এইডস এর টিকা নেই, নেই ক্যান্সারেরও টিকা। অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে এই দূরারোগ্য ক্যান্সার, এইডস, হেপাটাইটিস-সির টিকা আবিষ্কার হয়ে গেছে। কলেরা, টাইফয়েড বা হেপাটাইটিস বি-এর মত ভয়াবহ রোগের হাত থেকে বাঁচতে আমরা কত কিছুই না করি। আশার কথা হল, খুব শিগগির কলেরা, হেপাটাইটিস-বি ও আরও কঠিন কঠিন অসুখের হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষের আর টিকা বা ভ্যাক্সিনেশন নিতে হবে না। শুধু একটা টমেটো বা দু’টো কলা খেলেই শরীরিরের ভেতরে এই সব কঠিন অসুখের বিরুদ্ধে গড়ে উঠবে প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে জীবপ্রযুক্তি।
বিজ্ঞানীরা আমাদের অতি পরিচিত ফলমূল ও সবজি, যেমন কলা, টমেটো ও আলুর মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন এমন সব জিন, যা বিভিন্ন রোগের ভ্যাক্সিন হিসেবে কাজ করবে। এ ধরনের ভ্যাক্সিনের নাম ‘এডিবল ভ্যাক্সিন’। এক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে বিজ্ঞানীরা ধানের মধ্যে ঢুকিয়েছেন এমন জিন যা কলেরার ভ্যাক্সিন হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়শীল দেশের জন্য এ প্রযুক্তি অত্য- গুরুত্বপূর্ণ, কারণ টিকা ও ভ্যাক্সিন হিমাঙ্কের নীচেয় তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও যথাযথভাবে প্রত্য- অঞ্চলে সরবরাহ করা যথেষ্ট ব্যয়বহুল ও কঠিন কাজ। আর গত দশ বছরে জীবপ্রযুক্তির উন্নতি মানুষের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। স্টেম সেল ক্লোনিং প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরানো, বার্ধক্যে ক্ষয় ধরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন হৃৎপিণ্ড বা কিডনীও বদলে ফেলার স্বপ্ন দেখছে মানুষ।
- তৌফিক আহমেদ

কোন মন্তব্য নেই: