শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০০৮

কাঁঠাল গাছঃ যার কিছুই ফেলনা নয়

কাঁঠাল গাছঃ যার কিছুই ফেলনা নয়




কাঁঠালের জন্মস্থান বাংলাদেশ ও এর আশেপাশে হওয়ায় জাতীয় ফল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কাঁঠাল গাছকে কৃষির ভাষায় বহুব্যবহারযোগ্য বৃড়্গ (MPT) বলে। অর্থাৎ কাঁঠাল গাছের পাতা, ফল, ডালপালা, কাণ্ড, শিকড়, বাকল, বীজসহ সবকিছু উপকারী। গাছের পাতা ও ফলের ত্বক গরম্ন-ছাগলের প্রিয় খাদ্য। ডালপালা খুব ভালো জ্বালানি। কাণ্ডের কাঠ খুব দামি আসবাবপত্র তৈরি হয়। কচিপাতা ও বাকল থেকে টাইডাই বাটিকের প্রাকৃতিক রঙ তৈরি হয়। শিকড় জ্বালানি ও ভেষজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কষ গাম, গস্নু ও রাসায়নিক পদার্থ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। জাতীয় ফল কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা খাদ্য হিসাবে খাওয়া হয়। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি বেশ সুস্বাদু। পাকা কাঁঠাল খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ। উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে বিশেষ কোন পুষ্টি উপাদান না থাকলেও প্রায় সবপুষ্টি উপাদানই আছে। তবে পাকা কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ আছে।

১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী পাকা কাঁঠালে ক্যারোটিন (ভিটামিনএ) ৪৭০০ মাইক্রোগ্রাম, খাদ্য শক্তি ৮৮ কিলোক্যালরি ও পটাশিয়াম ১৯১ মিলিগ্রাম আছে। কাঁচা কাঁঠালে উলেস্নখযোগ্য পুষ্টির মধ্যে পটাশিয়াম ২৪৬ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ৯৭ মিলিগ্রাম। বীজের মধ্যে উলেস্নখ্যযোগ্য হলো-সালফার ৩৫৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৪৬ মিলিগ্রাম ও খাদ্য শক্তি ১৩৩ কিলোক্যালরি। কাঁঠালের বিভিন্ন রকম ভেষজ গুণ রয়েছে। আর্য়ুবেদীয় মতে, মানুষের দেহে কোথাও ফুলে গেলে কাঁঠালের আঠা লাগালে উপকার হয়। ফোঁড়ায় আঠা লাগালে ফোঁড়া পাকে। কাঁঠালের পাতার রস খেলে বমি দূর হয়। কাঁচা কাঁঠালের এচোঁড় বেটে এর রস দুধ সমেত খেলে বুক ধড়ফড়ানি কমে। কচিপাতা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে এবং আক্রান্তôস্থানে লাগালে দাদ, একজিমা ও চুলকানি রোগের উপশম হয়।
কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ

কোন মন্তব্য নেই: