রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০০৮

পেয়ারা বাগান বদলে দিয়েছে ভাগ্যের চাকা



পেয়ারা বাগান বদলে দিয়েছে ভাগ্যের চাকা



কাজী পেয়ারার বাগান করে পাল্টে গেছে ভোলা সদর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের অক্ষর জ্ঞানহীন যুবক আব্দুল মালেকের ভাগ্যের চাকা। ২ একর জমিতে রোপণ করা ৬’শ পেয়ারা গাছের ফলন তার পরিবারের জন্য আর্শীবাদ বয়ে এনেছে। অধিক ফলনে তার সব খরচ উঠে এখন কেবল গুনছেন লাভের টাকা। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে পেয়ারা চাষি মালেক এখন দিন কাটাচ্ছেন পরম সুখে। তবে তার আশা সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও জমি নিয়ে পেয়ারা চাষ করার। তার এ সফলতায় এলাকার অন্য যুবকরাও খুশি, গর্বিত। পাশাপাশি বেকার যুবকরা উদ্যোগ নিচ্ছে মালেকের মত করে নিজেরাও বিভিন্ন ফলের বাগান করতে।
আজ থেকে ১০ বছর আগে মালেক মিয়া শুরু করেন পেয়ারার চাষ। তবে পেশা ছিল তার কাঠমিস্ত্রি। মানুষের আসবাবপত্র বানানোর পাশাপাশি তিনি রুহিতা গ্রামে ২ একর জমি ২০ বছরের লিজ নিয়ে নিজের পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই করে বাকি জমিতে করেন পেয়ারা বাগান। জমি লিজ ও পেয়ারা বাগান করতে তার খরচ হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি নিয়ে স্বরূপকাঠি থেকে সংগ্রহ করেন ৬’শ পেয়ারার চারা। কয়েকজন কাজের লোক নিয়ে পেয়ারার চারা জমিতে রোপণ করেন। কোন প্রশিক্ষণ না নিয়েও সুন্দর করে গড়ে তোলেন পেয়ারা বাগান। মালেক মিয়া জানান, প্রথম বছরেই তার পেয়ারা বাগান থেকে রোজগার আসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রতিদিন সকালে তিনি বাজারের বেপারীদের কাছে পেয়ার দিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। বিক্রি শেষে সন্ধ্যার পর টাকা নিয়ে আসেন। প্রতিদিন ৬ মণ করে পেয়ারা বিক্রি হয় তার। প্রতি কেজি পেয়ারা বিক্রি হয় ১৫ টাকা করে। বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে এখনও ২০ হাজার টাকার পেয়ারা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর আরও বেশি জায়গা লিজ নিয়ে তিনি পেয়ারা বাগান করবেন। অবসর সময় করবেন কাঠ মিস্ত্রির কাজ।
চেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো অসম্ভব নয় তারই প্রমাণ রেখেছেন মালেক মিয়া। সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে বড় করে পেয়ারার বাগান করবেন বলে জানান তিনি। - হারুনুর রশীদ, ভোলা

কোন মন্তব্য নেই: