“গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” কিছু প্রস্তাবনা
বাংলাদেশের প্রধান সড়কগুলোর নির্মাণ বা উন্নয়নের জন্য রাস্তার দুপাশের মাটি কেটে খাল তৈরি করা হচ্ছে। এ খালের জন্য সামান্য জায়গা ছাড়া রাস্তার দুপাশের জমি কেবলমাত্র কৃষিজমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এই খাল ভরাট করা প্রয়োজন। খালের কারণে সড়ক ও মহাসড়কের আশপাশের জমি উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে না। প্রাথমিক সমীক্ষামত সড়ক ও মহাসড়কের দুদিকের নীচু জমি বা ধানক্ষেত হতে ১ কিলোমিটার জমির মধ্যে ৩০০ মিটার নীচু জমি উঁচু জমিতে রূপান্তর করা প্রয়োজন। তা করার জন্য মাটি ভরাট করা হলে দেশজুড়ে কয়েক’শ কোটি একর উঁচু জমি পাওয়া যাবে। এই নীচু জমি উঁচু জমিতে রূপান্তর করতে গেলে আরও বেশ কয়েক’শ কোটি একর মাছ চাষের উপযোগী জলাভূমিতে রূপান্তরিত হবে। এই জলাশয়ের পানি দিয়ে প্রয়োজনে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বর্ষাকালে যে পানির প্রবাহ থাকে তা বিশেষ কয়েকটি বাঁধ ছাড়া অন্যকোন এলাকায় জমিয়ে রাখার মত কোন ব্যবস্থা নেই। বর্ষার পানিকে এসব খালে ধরে রাখা যেতে পারে।
বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা ও আন্তঃনগর সংযোগের প্রধান সড়কগুলোর দুপাশের এক কিলোমিটার করে মোট দুকিলোমিটার নীচু জমি “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” নামক একটি প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। রাস্তার দুপাশে নীচু জমি যেখানে কেবল ধানচাষ হয় তার দুপাশ হতে ১ কিলোমিটার জমির মধ্যে প্রথম ৩০০ মিটার জমি বর্তমান রাস্তার উচ্চতা হতে ১ মিটার উঁচু করে মাটি ভরাট করতে হবে। এই ৩০০ মিটার নীচু জমি বা ধানক্ষেত ভরাট করতে পরবর্তী ৬০০ মিটার নীচু জমি বা ধানক্ষেত ২ মিটার গভীর করে কাটা হলে বর্তমান অবস্থান হতে ওই ৩০০ মিটার নীচু জমি ৪ মিটার উঁচু জমিতে রূপান্তরিত হবে। উঁচু জমির যে পাশ থেকে বছরের অধিকাংশ সময়ে সূর্যরশ্মি আসবে সে পাশে রবিশস্য এবং বাকি জমিতে কাঠের জন্য গাছ লাগাতে হবে।
যে এলাকা ৪ মিটার মাটি ভরাটের পরও পাশের রাস্তা হতে ১ মিটার উঁচু হবে না সে জমি প্রয়োজনে ২·৫ মিটার বা ৩ মিটার করে কাটা হবে তাহলে ৪ মিটারের পরিবর্তে উক্ত নীচু জমি ৫ বা ৬ মিটার উঁচু করা যাবে। ৩০০ মিটার উঁচু জমি পাওয়া যাবে এবং ৬০০ মিটার নীচু জমি বা জলাশয় পাওয়া যাবে। রাস্তার উভয় পাশে ১ মিটার উঁচু ৩০০ মিটার চওড়া বিশাল এলাকা পাওয়া যাবে। যা সড়ক বা মহাসড়কের পাশে বাধাহীনভাবে দীর্ঘ হবে। সেখানে রাস্তার পাশে গ্রাম বা উঁচু জমি পাওয়া যাবে সেখানে প্রকল্পটির সীমানা শেষ হবে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক ১ বর্গ কিলোমিটার করে আলাদা আলাদা প্রকল্প করা যাবে।
১০০০ মিটার চওড়া ১০০০ মিটার দীর্ঘ একটি প্রকল্পে প্রায় ২৪৬ একর জমি থাকবে যা থেকে ৭৪ একর উঁচু জমিতে রূপান্তরিত হবে এবং ১৫০ একর জলাশয় এ রূপান্তরিত হবে। প্রতি কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে ১৫০ একর উঁচু জমি এবং ৩০০ একর পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মাছ চাষ উপযোগী জলাশয় পাওয়া যাবে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে-
১· এলাকাভিত্তিক জমির মালিকরা সমবায় সমিতির সদস্য হয়ে তাদের জমির হারাহারি মালিকানার বিপরীতে সমিতির শেয়ার লাভের মাধ্যমে সমবায় সমিতির নামে জমির একক মালিকানা প্রদান করবেন। অথবা সকলে একসাথে তাদের জমি হারাহারি মালিকানার বিপরীতে উপযুক্ত ডেভলপার নিযুক্ত করে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবেন।
২· সরকার জমি রিকুইজিশন করে মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান না করে জমির মালিকগণকে উন্নয়ন এর জন্য “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” নামক প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে তাদের কাছে লীজ প্রদান করবেন। সংযুক্ত নকশা অনুযায়ী রাস্তার দুপাশে ২ কিলোমিটার উঁচু জমি ও খাল কাটার পানি কীভাবে থাকবে তা প্রদর্শিত হয়েছে। এই ১ বর্গ কিলোমিটার জমির মালিকরা নিজেদের তহবিল হতে অথবা ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে এই প্রকল্প চালাতে পারে অথবা আগ্রহী ব্যবসায়ীদের যৌথ উন্নয়নের অংশীদার করার মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পরেন। রাস্তার পাশের উঁচু জমির এক অংশে গাছ লাগাতে হবে আর অপর অংশে পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য রবিশস্য উৎপাদন করা হবে। বিভিন্ন এলাকায় মাটি পরীক্ষা করে সঠিক ফসল উৎপাদন করার ব্যবস্থা করা হবে। বাকি ৬০০ মিটার পানিতে মাছ চাষ করা যাবে। এই কয়েক কোটি একর উঁচু জমি ও মাছ চাষের জন্য জলাশয় পূর্বের ধানক্ষেত্রে উৎপাদন অপেক্ষা অনেক বেশি টাকা আয় করবে। এই ৬০০ মিটার পানির পর আরও ২০ মিটার উঁচু দুটি পাড় ও ৫০ মিটার পানির আরও একটি জলাশয় থাকবে। এই উঁচু জমি ও গাছ লাগানোর কাজে লাগবে আর পানি সেচ কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে। এই রিকুইজিশনকৃত জমির লীজ দেবে একটি সমবায় সমিতির নামে যেখানে রিকুইজিশনকৃত জমির মালিকরা তাদের জমির হারাহারি অংশ অনুযায়ী সমবায় সমিতির শেয়ারের মালিক হবেন। এই সমবায় সমিতি ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নিজেরাই এই ৫/৬ কোটি টাকা মূলধন হিসেবে বিনিযোগ করে “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” প্রকল্পের বাস্তôবায়ন হবে। যদি সমবায় সমিতি নিজেরা ৫/৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে রিয়েল এস্টেট ডেভেলাপারদেরে সাথে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তôবায়ন এর ব্যবস্থা করতে হবে।
অনেকক্ষেত্রেই অশিক্ষিত জমির মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগে এই সমবায় সমিতি করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই তাই এ উদ্যোগ বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। জমি অধিগ্রহণ করার পর জমির মালিকদের বাধ্য করতে হবে সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য। জমির মালিকরা সমিতির মাধ্যমে মালিক থাকবেন বিষয়টি সম্যকভাবে উপলব্ধি করতে পারলে অধিগ্রহণ বা যৌথ উন্নয়ন কোন বিষয়েই জমির মালিকরা বাধা সৃষ্টি করবেন না। অন্যথায় সরকারি আইন মোতাবেক রিকুইজিশন করে জমির ব্যবহার বিধি অনুযায়ী রাস্তার পাশের নীচু ধানক্ষেত কেবল মাত্র “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” প্রকল্প হিসেবে গড়ে তোলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে মডেল হিসেবে প্রথমে যদি আমরা যে কোন জায়গায় রাস্তার পাশে ১০০০ মিটার X ১০০০ মিটার জমির ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে নিম্ন বর্ণিত উপায়ে তা বাস্তবায়ন করা যাবে। প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে ১০০০ মিটিার X ১০০০মিটার =১০,০০,০০০ বর্গমিটার জমি পাওয়া যাবে। ১০০০ X ১০০০ = ১০,০০,০০০ বর্গমিটার।
প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে ৭০ একর উঁচু জমি এবং ১৪০ একর জলাশয় পাওয়া যাবে। প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে যৌথ উদ্যোগে জমির মালিকদের সাথে ডেভেলপারদের যৌথ উন্নয়নে ও যেতে পারেন। জমির মালিকরা নিজেরাই কো- অপারেটিভের মাধ্যমে জমির যৌথ মালিকানা সৃষ্টি করতে পারেন। উক্ত জমির মালিকের কো-অপারেটিভ যে কোন উপযুক্ত রিয়েল এটেষ্ট ডেভেলপারের সাথে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গাছ ও মাছ চাষের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
একটি হিসেবে দেখা গেছে প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে মাটি কেটে ৩০০ X ১০০ মিটার মাটি ভরাট করতে প্রায় ৫ কোটি টাকার মত বিনিয়োগ করতে হবে। ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর এলাকা ভিত্তিক উঁচু জমির ধরন বুঝে বিশেষজ্ঞ দ্বারা মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত রবিশস্যসহ সকল প্রকার বৃক্ষ ও দীর্ঘ মেয়াদে গাছ রোপণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। অপর দিকে ৬০০ X ১০০০ মিটার এর প্রকল্প ১৫/২০ বা এর অধিক সময় পর্যন্ত যৌথ উন্নয়নে উন্নত করে অধিক বৃক্ষ রোপণ, অনেক বেশি রবিশস্য প্রায় সকল প্রকার ফলের চাষ আমাদের বাংলাদেশে সম্ভব হবে।
শরীফ হোসেন চৌধুরী
বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা ও আন্তঃনগর সংযোগের প্রধান সড়কগুলোর দুপাশের এক কিলোমিটার করে মোট দুকিলোমিটার নীচু জমি “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” নামক একটি প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। রাস্তার দুপাশে নীচু জমি যেখানে কেবল ধানচাষ হয় তার দুপাশ হতে ১ কিলোমিটার জমির মধ্যে প্রথম ৩০০ মিটার জমি বর্তমান রাস্তার উচ্চতা হতে ১ মিটার উঁচু করে মাটি ভরাট করতে হবে। এই ৩০০ মিটার নীচু জমি বা ধানক্ষেত ভরাট করতে পরবর্তী ৬০০ মিটার নীচু জমি বা ধানক্ষেত ২ মিটার গভীর করে কাটা হলে বর্তমান অবস্থান হতে ওই ৩০০ মিটার নীচু জমি ৪ মিটার উঁচু জমিতে রূপান্তরিত হবে। উঁচু জমির যে পাশ থেকে বছরের অধিকাংশ সময়ে সূর্যরশ্মি আসবে সে পাশে রবিশস্য এবং বাকি জমিতে কাঠের জন্য গাছ লাগাতে হবে।
যে এলাকা ৪ মিটার মাটি ভরাটের পরও পাশের রাস্তা হতে ১ মিটার উঁচু হবে না সে জমি প্রয়োজনে ২·৫ মিটার বা ৩ মিটার করে কাটা হবে তাহলে ৪ মিটারের পরিবর্তে উক্ত নীচু জমি ৫ বা ৬ মিটার উঁচু করা যাবে। ৩০০ মিটার উঁচু জমি পাওয়া যাবে এবং ৬০০ মিটার নীচু জমি বা জলাশয় পাওয়া যাবে। রাস্তার উভয় পাশে ১ মিটার উঁচু ৩০০ মিটার চওড়া বিশাল এলাকা পাওয়া যাবে। যা সড়ক বা মহাসড়কের পাশে বাধাহীনভাবে দীর্ঘ হবে। সেখানে রাস্তার পাশে গ্রাম বা উঁচু জমি পাওয়া যাবে সেখানে প্রকল্পটির সীমানা শেষ হবে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক ১ বর্গ কিলোমিটার করে আলাদা আলাদা প্রকল্প করা যাবে।
১০০০ মিটার চওড়া ১০০০ মিটার দীর্ঘ একটি প্রকল্পে প্রায় ২৪৬ একর জমি থাকবে যা থেকে ৭৪ একর উঁচু জমিতে রূপান্তরিত হবে এবং ১৫০ একর জলাশয় এ রূপান্তরিত হবে। প্রতি কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে ১৫০ একর উঁচু জমি এবং ৩০০ একর পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মাছ চাষ উপযোগী জলাশয় পাওয়া যাবে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে-
১· এলাকাভিত্তিক জমির মালিকরা সমবায় সমিতির সদস্য হয়ে তাদের জমির হারাহারি মালিকানার বিপরীতে সমিতির শেয়ার লাভের মাধ্যমে সমবায় সমিতির নামে জমির একক মালিকানা প্রদান করবেন। অথবা সকলে একসাথে তাদের জমি হারাহারি মালিকানার বিপরীতে উপযুক্ত ডেভলপার নিযুক্ত করে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবেন।
২· সরকার জমি রিকুইজিশন করে মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান না করে জমির মালিকগণকে উন্নয়ন এর জন্য “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” নামক প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে তাদের কাছে লীজ প্রদান করবেন। সংযুক্ত নকশা অনুযায়ী রাস্তার দুপাশে ২ কিলোমিটার উঁচু জমি ও খাল কাটার পানি কীভাবে থাকবে তা প্রদর্শিত হয়েছে। এই ১ বর্গ কিলোমিটার জমির মালিকরা নিজেদের তহবিল হতে অথবা ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে এই প্রকল্প চালাতে পারে অথবা আগ্রহী ব্যবসায়ীদের যৌথ উন্নয়নের অংশীদার করার মাধ্যমে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পরেন। রাস্তার পাশের উঁচু জমির এক অংশে গাছ লাগাতে হবে আর অপর অংশে পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য রবিশস্য উৎপাদন করা হবে। বিভিন্ন এলাকায় মাটি পরীক্ষা করে সঠিক ফসল উৎপাদন করার ব্যবস্থা করা হবে। বাকি ৬০০ মিটার পানিতে মাছ চাষ করা যাবে। এই কয়েক কোটি একর উঁচু জমি ও মাছ চাষের জন্য জলাশয় পূর্বের ধানক্ষেত্রে উৎপাদন অপেক্ষা অনেক বেশি টাকা আয় করবে। এই ৬০০ মিটার পানির পর আরও ২০ মিটার উঁচু দুটি পাড় ও ৫০ মিটার পানির আরও একটি জলাশয় থাকবে। এই উঁচু জমি ও গাছ লাগানোর কাজে লাগবে আর পানি সেচ কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে। এই রিকুইজিশনকৃত জমির লীজ দেবে একটি সমবায় সমিতির নামে যেখানে রিকুইজিশনকৃত জমির মালিকরা তাদের জমির হারাহারি অংশ অনুযায়ী সমবায় সমিতির শেয়ারের মালিক হবেন। এই সমবায় সমিতি ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নিজেরাই এই ৫/৬ কোটি টাকা মূলধন হিসেবে বিনিযোগ করে “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” প্রকল্পের বাস্তôবায়ন হবে। যদি সমবায় সমিতি নিজেরা ৫/৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে রিয়েল এস্টেট ডেভেলাপারদেরে সাথে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তôবায়ন এর ব্যবস্থা করতে হবে।
অনেকক্ষেত্রেই অশিক্ষিত জমির মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগে এই সমবায় সমিতি করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই তাই এ উদ্যোগ বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। জমি অধিগ্রহণ করার পর জমির মালিকদের বাধ্য করতে হবে সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য। জমির মালিকরা সমিতির মাধ্যমে মালিক থাকবেন বিষয়টি সম্যকভাবে উপলব্ধি করতে পারলে অধিগ্রহণ বা যৌথ উন্নয়ন কোন বিষয়েই জমির মালিকরা বাধা সৃষ্টি করবেন না। অন্যথায় সরকারি আইন মোতাবেক রিকুইজিশন করে জমির ব্যবহার বিধি অনুযায়ী রাস্তার পাশের নীচু ধানক্ষেত কেবল মাত্র “গাছ ও মাছে বাংলাদেশ” প্রকল্প হিসেবে গড়ে তোলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে মডেল হিসেবে প্রথমে যদি আমরা যে কোন জায়গায় রাস্তার পাশে ১০০০ মিটার X ১০০০ মিটার জমির ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে নিম্ন বর্ণিত উপায়ে তা বাস্তবায়ন করা যাবে। প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে ১০০০ মিটিার X ১০০০মিটার =১০,০০,০০০ বর্গমিটার জমি পাওয়া যাবে। ১০০০ X ১০০০ = ১০,০০,০০০ বর্গমিটার।
প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে ৭০ একর উঁচু জমি এবং ১৪০ একর জলাশয় পাওয়া যাবে। প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে যৌথ উদ্যোগে জমির মালিকদের সাথে ডেভেলপারদের যৌথ উন্নয়নে ও যেতে পারেন। জমির মালিকরা নিজেরাই কো- অপারেটিভের মাধ্যমে জমির যৌথ মালিকানা সৃষ্টি করতে পারেন। উক্ত জমির মালিকের কো-অপারেটিভ যে কোন উপযুক্ত রিয়েল এটেষ্ট ডেভেলপারের সাথে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গাছ ও মাছ চাষের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
একটি হিসেবে দেখা গেছে প্রতি বর্গ কিলোমিটার জমিতে মাটি কেটে ৩০০ X ১০০ মিটার মাটি ভরাট করতে প্রায় ৫ কোটি টাকার মত বিনিয়োগ করতে হবে। ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের পর এলাকা ভিত্তিক উঁচু জমির ধরন বুঝে বিশেষজ্ঞ দ্বারা মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত রবিশস্যসহ সকল প্রকার বৃক্ষ ও দীর্ঘ মেয়াদে গাছ রোপণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। অপর দিকে ৬০০ X ১০০০ মিটার এর প্রকল্প ১৫/২০ বা এর অধিক সময় পর্যন্ত যৌথ উন্নয়নে উন্নত করে অধিক বৃক্ষ রোপণ, অনেক বেশি রবিশস্য প্রায় সকল প্রকার ফলের চাষ আমাদের বাংলাদেশে সম্ভব হবে।
শরীফ হোসেন চৌধুরী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন