আসছে দুর্যোগ সহনশীল ধানের জাত
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষই কৃষির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। জীবিকা নির্বাহের জন্য এ দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য হচ্ছে ধান। প্রতি বছর বাংলাদেশের সব জেলাতে প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়। তবে তা আমাদের চাহিদার তুলনায় কম। ফলে থেকে যাচ্ছে ঘাটতি। জলবায়ুগত কারণে কৃষকরা ধানচাষে যেমন সুযোগ-সুবিধা পায় তেমন নানা রকম অসুবিধার মধ্যেও তাদের পড়তে হয়। ২০০৭ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ ও ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘রেশমী’ এর আঘাতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও ৮৮, ৯৮ ও ২০০৭ সালের দু’দফা বন্যায় ধানসহ সব ধরণের ফসলের অবর্ণনীয় ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় কৃষকদের।
যার ফলে কৃষি ও কৃষকের উপর নেমে আসে অপ্রত্যাশিত প্রতিবন্ধকতা। অপরদিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। বিশ্বব্যাপী কৃষির মহামন্দার সময় ফিলিপাইনের আন্তôর্জাতিক ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট বিশ্বকে দেখাল এক আলোর ইশারা। তারা পরিবেশবান্ধব, অধিক ফলনশীল ও দুর্যোগ সহনশীল ধান উদ্ভাবন করেছে যা ২০০৯ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের কাজ শুরু করবে বাংলাদেশের কৃষকরা। এ ধরণের ধান চাষে আমাদের কৃষকরা বেশ লাভবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ধান ১৫ দিন পানির নিচে থাকলেও তেমন কোন ক্ষতি হবে না। বন্যা, অতিবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে সহজে নষ্ট হবে না বলে বিজ্ঞানীরা জানান। বাংলাদেশের জলবায়ুতে এ জাতের ধান চাষ অত্যন্তô উপযোগী বলে মনে করেন আন্তôর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
ইসমাইল হোসেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন