রবিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯

পতিত জমিতে হলুদ চাষ


পতিত জমিতে হলুদ চাষ





হলুদগুলো দেখে মনটা ভরে গেল নিয়ামত আলীর। ভাঙ্গা হলুদের রঙ যেন সোনা রঙের মত চকচক করছে। ব্যপারটা প্রথমে তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। অবহেলায় ফেলে রেখেছিলেন বাড়ির দক্ষিণপাশে পুকুর আর বাড়ির মাঝখানের বেশকিছুটা পতিত জমি। রুহুল মিয়ার পরামর্শে তিনি হলুদ চাষ করেন। এতে বীজের টাকা ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই। হলুদের বীজ সংরক্ষণ করার কোন প্রয়োজনও নেই।

হলুদ একটি লাভজনক ফসল। এটা লাগানোর পর ৮ থেকে ১০ মাস সময় লাগে তুলতে। হলুদ চাষ করতে গেলে সেচ, কীটনাশক এবং পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে না। অনুর্বর ভিটে মাটি অথবা পতিত বেলে দো-আঁশ মাটিতে হলুদ ভাল জন্মে। ভাল ফলন হলে ১ বিঘা জমিতে প্রতি বছর কাঁচা ২৫ থেকে ৩০ মণ এবং শুকনো ১০ থেকে ১২ মণ হলুদ পাওয়া যায়। জমিতে ভালভাবে চাষ দিয়ে পিলি তৈরি করে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের পর কখনও কখনও আগাছা পরিষ্কার করার দরকার হয়। জমি থেকে হলুদ তোলার পর গোড়ার সাথে মোথার অংশটুকুই হল বীজ। মাঘ-ফালগুন মাসে ক্ষেত থেকে হলুদ তোলার পর জমি ফেলে রাখতে হয় ২ থেকে ৩ মাস। বছরে একবার ফলন হয় বলে হলুদ চাষে কৃষকদের অনিহা। হলুদের বাজার দরও কম না। শুকনো আস্তô হলুদ ৮০ থেকে ৯০ টাকা হলেও শুকনো হলুদের গুঁড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। বছরে যদি দুইবার হলুদ তোলা সম্ভব হলে এটি একটি লাভজনক ফসল হিসেবে বিবেচিত হত এবং চাষিদের জন্য ভাল হত।

কোন মন্তব্য নেই: