বোরো ধানে সেচসংকট উপায় কী?
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বোরো ধানে সেচসংকটের খবর আসছে। কোথাও কোথাও সেচের পানির জন্য সড়ক অবরোধ ও মিছিল হচ্ছে। বিদ্যুতের ঘাটতি ও জ্বালানি তেলের দাম বেশি এবং সরবরাহ কম হওয়ায় সেচসংকট হচ্ছে। এই সুযোগে সেচপাম্পের মালিকেরা সেচের উচ্চমূল্য নেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা বোরো ধানে সঠিক পরিমাণে সেচ দিতে পারছে না। বোরো ধানে কুশি বৃদ্ধি পর্যায় থেকে কাইচ থোড় আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। পানির ঘাটতি হলে ফলন কম হয় এবং ধানে চিটা হয়। এ সময় বৃষ্টি হয় না বলে পানির স্তর ভূগর্ভে চলে যায়, যা গাছ গ্রহণ করতে পারে না। সেচের পানি বাষ্পীভবন, অনুস্রবণ, চুয়ানো, শোষণ ও পরিস্রবণ প্রক্রিয়ায় অপচয় হয়। সেচের পানির এই অপচয় রোধ করে কার্যকারিতা বাড়ালে অল্প সেচ দিয়েই গাছে পানির চাহিদা পূরণ করা যায়।
এর কিছু কৌশল এখানে উল্লেখ করা হলো-
* সেচনালা সম্ভব হলে পাকা করা উচিত। অন্তত এঁটেল মাটি দিয়ে লেপে দেওয়া যেতে পারে। সেচ নালায় পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিলেও পানি মাটিতে অনুস্রবণ, চুয়ানো ও শোষণ বন্ধ হবে।
* পুরোনো সেচনালার ছিদ্র, ভাঙা, পাড় উঁচু যাবতীয় সংস্কার ও মেরামত করতে হবে।
* মাঠ ফসল ও উদ্যান ফসলে নানা পদ্ধতিতে সেচ দিলে পানির অপচয় কম হয়।
* পরিমাণমতো সেচ দিতে হবে। এ জন্য সেচ দেওয়ার সময় জমির অবস্থা খেয়াল রাখতে হবে।
* রাতে সেচ দেওয়া প্রয়োজন। এতে পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে কম যাবে। অপরদিকে রাতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ বেশি থাকে।
যতটুকু সম্ভব সেচনালার দৈর্ঘ্য কমাতে হবে। এতে মাটিতে পানি শোষণের পরিমাণ কম হয়।
* একই নলকূপের অধীনের জমিগুলো সমতল হলে সব জমিতে সমান পরিমাণ পানি সরবরাহ হবে।
* মাটিতে জৈব পদার্থ দিতে হবে। জৈব পদার্থ মাটির পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়। ফলে পানি মাটির বেশি নিচে যাবে না।
* সেচনালা ফসলের জমির দিকে ঢালু রাখতে হবে।
* মাটির গঠন ও মাটির কণার আকার-আকৃতির ভিত্তিতে সেচ দিতে হয়। এতে পানির পরিমাণ অনুসারে সেচ দেওয়া যায়।
* জমির আইল শক্ত করে বাঁধা উচিত। সেচ দেওয়ার সময় মাঝেমধ্যে সেচনালা পরীক্ষা করতে হবে। ছিদ্র হলে সঙ্গে সঙ্গে ছিদ্র বন্ধ করতে হবে।
* সেচের খরচ কমানোর জন্য ঢেঁকিকল দিয়ে সেচের পানি উত্তোলন করা যায়। এতে বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। যেমন-পানি উত্তোলনের জন্য বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খরচ হয় না। একজন মানুষ খুব সহজে পা দিয়ে পানি উঠাতে পারে। ঢেঁকিকল দামে খুব সস্তা। অনেক দিন ব্যবহার করা যায়। প্রতি মিনিটে ৭৫ লিটার পানি তোলা যায়। মেরামত খরচ নেই বললেই চলে। পরিবারের সবাই পানি উঠাতে পারে। সেচের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এক মৌসুমেই মোট খরচের প্রায় তিন গুণ আয় করা যায়। ফসলের প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দেওয়া যায়।
ফরহাদ আহাম্মেদ
এর কিছু কৌশল এখানে উল্লেখ করা হলো-
* সেচনালা সম্ভব হলে পাকা করা উচিত। অন্তত এঁটেল মাটি দিয়ে লেপে দেওয়া যেতে পারে। সেচ নালায় পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিলেও পানি মাটিতে অনুস্রবণ, চুয়ানো ও শোষণ বন্ধ হবে।
* পুরোনো সেচনালার ছিদ্র, ভাঙা, পাড় উঁচু যাবতীয় সংস্কার ও মেরামত করতে হবে।
* মাঠ ফসল ও উদ্যান ফসলে নানা পদ্ধতিতে সেচ দিলে পানির অপচয় কম হয়।
* পরিমাণমতো সেচ দিতে হবে। এ জন্য সেচ দেওয়ার সময় জমির অবস্থা খেয়াল রাখতে হবে।
* রাতে সেচ দেওয়া প্রয়োজন। এতে পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে কম যাবে। অপরদিকে রাতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ বেশি থাকে।
যতটুকু সম্ভব সেচনালার দৈর্ঘ্য কমাতে হবে। এতে মাটিতে পানি শোষণের পরিমাণ কম হয়।
* একই নলকূপের অধীনের জমিগুলো সমতল হলে সব জমিতে সমান পরিমাণ পানি সরবরাহ হবে।
* মাটিতে জৈব পদার্থ দিতে হবে। জৈব পদার্থ মাটির পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়। ফলে পানি মাটির বেশি নিচে যাবে না।
* সেচনালা ফসলের জমির দিকে ঢালু রাখতে হবে।
* মাটির গঠন ও মাটির কণার আকার-আকৃতির ভিত্তিতে সেচ দিতে হয়। এতে পানির পরিমাণ অনুসারে সেচ দেওয়া যায়।
* জমির আইল শক্ত করে বাঁধা উচিত। সেচ দেওয়ার সময় মাঝেমধ্যে সেচনালা পরীক্ষা করতে হবে। ছিদ্র হলে সঙ্গে সঙ্গে ছিদ্র বন্ধ করতে হবে।
* সেচের খরচ কমানোর জন্য ঢেঁকিকল দিয়ে সেচের পানি উত্তোলন করা যায়। এতে বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। যেমন-পানি উত্তোলনের জন্য বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খরচ হয় না। একজন মানুষ খুব সহজে পা দিয়ে পানি উঠাতে পারে। ঢেঁকিকল দামে খুব সস্তা। অনেক দিন ব্যবহার করা যায়। প্রতি মিনিটে ৭৫ লিটার পানি তোলা যায়। মেরামত খরচ নেই বললেই চলে। পরিবারের সবাই পানি উঠাতে পারে। সেচের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এক মৌসুমেই মোট খরচের প্রায় তিন গুণ আয় করা যায়। ফসলের প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দেওয়া যায়।
ফরহাদ আহাম্মেদ